যুগান্তর •
চিত্রনায়িকা নায়িকা মাহিয়া মাহি এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার বিষয়ে ঢালিউডের নায়ক মামনুন হাসান ইমন থেকে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে র্যাব।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় এ নায়ক র্যাব সদর দপ্তরে হাজির হন। তাকে ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার বিষয়ে ৫ ঘণ্টার বেশি সময় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। রাত ১১টা ১৫ মিনিটের দিকে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
৫ ঘণ্টার জিজ্ঞাসবাদে ইমন চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক অডিও ক্লিপ ফাঁসের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চিত্রনায়ক মামনুন হাসান ইমনকে র্যাব সদরদপ্তরে ডাকা হয়। সন্ধ্যা ৬টা থেকে টানা ৫ ঘণ্টা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে বেশকিছু চাঞ্চল্যকর পাওয়া গেছে। এসব তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। ইমন জানিয়েছেন তার জ্ঞাতসারে অডিওটি ফাঁস হয়নি। গোটা ঘটনার বিষয়ে তদন্তে র্যাবকে সহয়তা করার কথা জানিয়েছেন ইমন।
এর আগে ইমনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সোমবার রাতে মিন্টু রোডে অবস্থিত গোয়েন্দা কার্যালয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টি স্বীকার করেছেন ডিবির যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশিদ।
সোমবার রাত ১১টার দিকে তিনি যুগান্তরকে বলেন, তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডাক্তার মুরাদ হাসান এবং চিত্রনায়িকা মাহির যে ফোনালাপের সঙ্গে অভিনেতা ইমনের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। প্রতিমন্ত্রী যখন ফোন করেন তখন ফোন রিসিভ করেন ইমন। তারপর প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ইমন এবং মাহির কথোপকথন হয়। এই কথোপকথন ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়েছে।
সম্প্রতি ফেসবুকে নায়িকা মাহি ও ডা. মুরাদ হাসানের একটি ফোনালাপ ফাঁস হয়। মুরাদ মূলত ইমনের ফোন নম্বরে কল দিয়ে মাহিকে চান। মাহি ফোন ধরলে অশ্লীল-আপত্তিকর ভাষায় কথা বলেন মুরাদ। তিনি মাহিকে তার সঙ্গে দেখা করতে বলেন ও না দেখা করলে তাকে মেরে ফেলার হুমকিও দেন। এছাড়া নিজের অনৈতিক ইচ্ছার কথা জানান।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-